শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং কাটাখালীতে মমতাজ নামক এক বখাটে যুবক কতৃক জনৈক ছৈয়দ আলীর রোপিত পাকা ধান কাটতে বাধা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা পাওয়ার ভুঁয়া অভিযোগ তুলে বাধা দেয়ার ফলে ফসলের ধান মাঠে পড়ে থাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে কৃষক ছৈয়দ আলী কে।
এলাকা সূত্রে জানা যায় , উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাটাখালীর পূর্বপাড়া গ্রামের সৈয়দ আলী ৪-৫ বছর ধরে আঞ্জুমান পাড়ার নুর ইসলামের কাছ থেকে বর্গা নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও চাষাবাদ করে আসছিল । ফসল ঘরে তুলার মৌসুমে চাষাবাদকৃত পাকা ধান কাটার জন্য কয়েকজন দিনমজুর নিয়ে জমিতে গেলে ধান কাটা অবস্থায় টাকা পাওনার মিথ্যা অভিযোগ তুলে লাঠি সোটা নিয়ে শ্রমিক ও কৃষক সৈয়দ আলীকে হুমকি ধমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। একই সাথে ধানের মধ্যে গরু মহিষের পাল লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন কৃষক সৈয়দ আলী।
এলাকার বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অনেক টাকা পয়সা খরচ করে সৈয়দ আলী চাষাবাদ করেছেন উক্ত জমিতে। দীর্ঘদিন পরিচর্যা শেষে ধান কাটতে আসলে ইসলামের ছেলে মমতাজ জোরপূর্বক তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে উক্ত পাকা ধান গরুর খোরাকে পরিনতি হয়েছে। এলাকার বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শিরা ছৈয়দ আলীর চাষ করা ধানে কথিত মমতাজের বাধা দান অনৈতিক ও ত্রাস সৃষ্টির অপকৌশল বলে মন্তব্য করেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সৈয়দ আলী বলেন, আন্জুমান পাড়ার নুরুল ইসলাম থেকে বর্গা নিয়ে দীর্ঘ ৮/১০ বছর ধরে এই জায়গাটি চাষাবাদ করে আসছি । আমার চাষ করা ধান কাটতে গেলে মমতাজ নামের এক সন্ত্রাসী দা, কোদাল দিয়ে তাড়িয়ে গরু লাগিয়ে দেয় ধান ক্ষেতে। তার সাথে আমার কোন লেনদেন নেই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মমতাজের পিতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার পুত্র কর্তৃক বাধা দেয়ার বিষয় স্বীকার করে বলেন, মূলত টাকা পাওনার হিসাব নিয়ে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এই জন্য আমি আমার ছেলেকে হাকা বকা করেছি। আর কোন বাধা দেওয়া হবেনা। ছৈয়দ আলী এখন ধান কাটতে পারবে । তাতে আমার পুত্র বাধা দিবেনা। তখন অভিযুক্ত মমতাজ ও পাশে ছিল।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করতেছে ৷ যে কোন মূহুর্তে অপ্রীতিকর ঘটার আশংকা রয়েছে।
Leave a Reply